তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লাকসামে গণসংহতির বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক।।
ডিজেল, কেরোসিনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণপন্থী রাজনৈতিক দল গণসংহতি আন্দোলন লাকসাম উপজেলার আয়োজনে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন লাকসাম উপজেলা আহ্বায়ক, গণসংহতি কুমিল্লা জেলা সদস্য জহির রায়হান।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন লাকসাম সংগঠক ও গণসংহতি লাকসামের সদস্য জাবেদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন গণসংহতি লাকসাম সদস্য সচিব ফাহাদুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেন করোনার প্রভাব কাটিয়ে না উঠতেই জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষকে আরো বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে বর্তমান সরকার। এই অবস্থা আসলেই মানা যায় না।

বক্তব্য রাখেন শ্রমিক মোঃ রাসেল, মোস্তফা ও রিক্সা শ্রমিক সংগঠক মাসুদ গাজী।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিপিসি গত ৭ বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা লাভ করার পরও ৪০ বছরের আয় ব্যায়ের সমন্বয় করতে সরকার বিপিসিকে আরো ৩৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। বৈশ্বিক বাজারে ডিজেলের দাম যখন বেড়েছে তখন বাংলাদেশে এক লাফেই লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিকে জায়েজ করছে এই ভোটারবিহীন সরকার। যা গণ মানুষের অর্থনৈতিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমাদের সামনে দুটো পথ খোলা রেখেছে সরকার তা হলো, হয় এই শোষন সহ্য করতে হবে অন্যথায় গণবিপ্লব সংগঠিত করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলন বিশ্বাস করে মানুষ দ্বিতীয়টিই বেছে নেবে। অর্থাৎ গণবিপ্লবই এই মুহুর্তে অতীব জরুরী। গণসংহতি আন্দোলন মানুষের স্বার্থ রক্ষায় গণবিপ্লব তৈরী করবে। আগামীতেও মানুষের স্বার্থ প্রতিষ্ঠায় গণসংহতি লড়াই করার অঙ্গীকার করছে।

এইগুলো সরকার করতে পারছে ভোটাধিকার হরন করার মধ্য দিয়ে। রাষ্ট্রের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক রুপান্তর এর কর্মসূচিতে সকলকে আহ্বান করেছেন তিনি।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা শফিউল্লাহ, রুবেল, জাফর, স্বপন, খোকন, রহিম।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

You cannot copy content of this page